আজকের আর্টিকেলে আমরা ভাগফল নির্ণয়ের সূত্র | নিঃশেষে বিভাজ্যের ক্ষেত্রে ভাজ্য, ভাগফল, ভাজক ও ভাগশেষ নির্ণয়ের সূত্র সম্পর্কে আলোচনা করব।
ভাগফল নির্ণয়ের সূত্র
ভাগফল নির্ণয়ের জন্য দুটি সূত্র ব্যবহার করা হয়:
১. যখন ভাজ্য নিঃশেষে বিভাজ্য হয়:
এই ক্ষেত্রে, ভাগফল নির্ণয়ের সূত্র হল:
ভাগফল = ভাজ্য / ভাজক
উদাহরণ:
- যদি ভাজ্য 20 এবং ভাজক 5 হয়, তাহলে ভাগফল হবে: ভাগফল = 20 / 5 = 4
২. যখন ভাজ্য নিঃশেষে বিভাজ্য হয় না:
এই ক্ষেত্রে, ভাগফল নির্ণয়ের সূত্র হল:
ভাগফল = (ভাজ্য – ভাগশেষ) / ভাজক
উদাহরণ:
- যদি ভাজ্য 23 এবং ভাজক 5 হয়, এবং ভাগশেষ 3 হয়, তাহলে ভাগফল হবে: ভাগফল = (23 – 3) / 5 = 4
মনে রাখবেন:
- ভাজ্য হল যে সংখ্যাটিকে ভাগ করা হচ্ছে।
- ভাজক হল যে সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা হচ্ছে।
- ভাগফল হল ভাগ করার ফলাফল।
- ভাগশেষ হল ভাগ করার পর অবশিষ্ট অংশ।
ভাজ্য নির্ণয়ের সূত্র | নিঃশেষে বিভাজ্য ও বিভাজ্য না হলে ভাজ্য নির্ণয়ের সূত্র
ভাজ্য নির্ণয়ের সূত্র নির্ভর করে ভাগফল নিঃশেষে বিভাজ্য কিনা তার উপর।
১. যখন ভাগফল নিঃশেষে বিভাজ্য:
এই ক্ষেত্রে, ভাজ্য নির্ণয়ের সূত্র হল:
ভাজ্য = ভাজক * ভাগফল
উদাহরণ:
- যদি ভাজ্য 20 এবং ভাজক 5 হয়, এবং ভাগফল 4 হয়, তাহলে ভাজ্য হবে: ভাজ্য = 5 * 4 = 20
২. যখন ভাগফল নিঃশেষে বিভাজ্য হয় না:
এই ক্ষেত্রে, ভাজ্য নির্ণয়ের সূত্র হল:
ভাজ্য = ভাজক * ভাগফল + ভাগশেষ
উদাহরণ:
- যদি ভাজ্য 23 এবং ভাজক 5 হয়, এবং ভাগফল 4 হয়, এবং ভাগশেষ 3 হয়, তাহলে ভাজ্য হবে: ভাজ্য = 5 * 4 + 3 = 23
ভাজক নির্ণয়ের সূত্র | নিঃশেষে বিভাজ্যের ক্ষেত্রে ভাজক নির্ণয়ের সূত্র
যে সংখ্যা দ্বারা ভাগ করা হয় তাকে ভাজক বলা হয়।
নিঃশেষে বিভাজ্যের ক্ষেত্রে ভাজক নির্ণয়ের সূত্র: ভাজক = ভাজ্য / ভাগফল
নিঃশেষে বিভাজ্য না হলে ভাজক নির্ণয়ের সূত্র: ভাজক = (ভাজ্য – ভাগশেষ) / ভাগফল
আরও পড়ুন: বর্গ কাকে বলে? বর্গক্ষেত্রের সূত্র ও বৈশিষ্ট্যসমূহ
ভাগশেষ নির্ণয়ের সূত্র
ভাগশেষ নির্ণয়ের সূত্র নির্ভর করে ভাগ্য নিঃশেষে বিভাজ্য কিনা তার উপর।
১. যখন ভাগফল নিঃশেষে বিভাজ্য:
এই ক্ষেত্রে, ভাগশেষ হবে 0 (শূন্য)।
উদাহরণ:
- যদি ভাজ্য 20 এবং ভাজক 5 হয়, এবং ভাগফল 4 হয়, তাহলে ভাগশেষ হবে: ভাগশেষ = ভাজ্য – (ভাজক * ভাগফল) = 20 – (5 * 4) = 20 – 20 = 0
২. যখন ভাগফল নিঃশেষে বিভাজ্য হয় না:
এই ক্ষেত্রে, ভাগশেষ হবে ভাজ্য – (ভাজক * ভাগফল)।
উদাহরণ:
- যদি ভাজ্য 23 এবং ভাজক 5 হয়, এবং ভাগফল 4 হয়, এবং ভাগশেষ 3 হয়, তাহলে ভাগশেষ হবে: ভাগশেষ = ভাজ্য – (ভাজক * ভাগফল) = 23 – (5 * 4) = 23 – 20 = 3
মনে রাখবেন:
- ভাজ্য হল যে সংখ্যাটিকে ভাগ করা হচ্ছে।
- ভাজক হল যে সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা হচ্ছে।
- ভাগফল হল ভাগ করার ফলাফল।
- ভাগশেষ হল ভাগ করার পর অবশিষ্ট অংশ।
উদাহরণ:
- 12 কে 5 দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল 2 এবং ভাগশেষ 2 হবে।
- 14 কে 3 দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল 4 এবং ভাগশেষ 2 হবে।
- 20 কে 4 দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল 5 এবং ভাগশেষ 0 হবে।