বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। প্রত্যেকটা ঋতু প্রতি দুমাস পরপর তার নিজস্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে আবির্ভাব হয়। আমাদের দেশ ছাড়াও ভারত ও অস্ট্রেলিয়াতেও ছয়টি ঋতু রয়েছে। তবে দুঃখের বিষয় হলো যে অনেকেই বাংলা ও ইংরেজি ছয় ঋতুর নাম জানে না। তাই যারা জানে না তাদের সুবিধার্থে আজকের (ছয় ঋতুর নাম ইংরেজিতে | বাংলা ৬ ঋতুর নাম) এই আর্টিকেলটি লিখা।
ছয় ঋতুর নাম ইংরেজিতে | বাংলাদেশের ৬ ঋতুর নাম ইংরেজিতে
ঋতুর নাম বাংলায় | ঋতুর নাম ইংরেজিতে | ইংরেজি যে যে মাস নিয়ে গঠিত |
---|---|---|
গ্রীষ্ম | Summer | মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য জুন পর্যন্ত |
বর্ষাকাল | Rainy season | মধ্য জুন থেকে মধ্য আগস্ট পর্যন্ত |
শরৎকাল | Autumn | মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য অক্টোবর পর্যন্ত |
হেমন্তকাল | Late-autumn | মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য ডিসেম্বর পর্যন্ত |
শীতকাল | Winter | মধ্য ডিসেম্বর থেকে মধ্য ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত |
বসন্তকাল | Spring | মধ্য ফেব্রুয়ারী থেকে মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত |
বাংলা ৬ ঋতুর নাম | বাংলা ছয় ঋতুর নাম
ঋতুর নাম বাংলায় | বাংলা যে যে মাস নিয়ে গঠিত |
---|---|
গ্রীষ্ম | বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ |
বর্ষাকাল | আষাঢ়-শ্রাবণ |
শরৎকাল | ভাদ্র-আশ্বিন |
হেমন্তকাল | কার্তিক-অগ্রহায়ণ |
শীতকাল | পৌষ-মাঘ |
বসন্তকাল | ফাল্গুন-চৈত্র |
গ্রীষ্মকাল (Summer) | গ্রীষ্ম ঋতুর বৈশিষ্ট্য
গ্রীষ্মকাল হল বছরের সেই সময় যখন দিনগুলি দীর্ঘতম এবং উষ্ণতম থাকে। উত্তর গোলার্ধে, গ্রীষ্মকাল জুন থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে স্থায়ী হয়, যখন দক্ষিণ গোলার্ধে এটি ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যে স্থায়ী হয়।
গ্রীষ্মের আবহাওয়া সূর্যের দিকে পৃথিবীর ঝোঁকের কারণে হয়। গ্রীষ্মের সময়, উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে, যার ফলে এটি সূর্যের আলো এবং তাপের বেশি পরিমাণ পায়। এর ফলে দিনগুলি দীর্ঘতম এবং উষ্ণতম হয়ে ওঠে।
গ্রীষ্মকাল সাধারণত বিভিন্ন ছুটি এবং ক্রিয়াকলাপের সাথে যুক্ত থাকে, যেমন সাঁতার কাটা, হাইকিং, ক্যাম্পিং এবং বারবিকিউিং। এটি এমন সময়ও যখন অনেক লোক ছুটি নেয় এবং ভ্রমণ করে।
গ্রীষ্মকালের কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে:
- দীর্ঘ দিন:গ্রীষ্মকালে, দিনগুলি সবচেয়ে দীর্ঘ হয়। এর কারণ হল পৃথিবী তার অক্ষের উপর 23.5 ডিগ্রি ঝুঁকে আছে। ফলে, উত্তর গোলার্ধ গ্রীষ্মের সময় সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে, যার ফলে এটি সূর্যের আলো এবং তাপের বেশি পরিমাণ পায়। এর ফলে দিনগুলি দীর্ঘতম হয়।
- বিস্তৃত দিনের আলো: গ্রীষ্মকালে দিনের আলোও দীর্ঘ হয়। এর অর্থ হল সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরও বেশি সময় থাকে। এটি লোকেদের বাইরে বেশি সময় কাটাতে এবং বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ উপভোগ করতে দেয়।
- বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি:গ্রীষ্মকাল প্রায়শই বৃষ্টিপাত বৃদ্ধির সাথে যুক্ত থাকে। এর কারণ হল উষ্ণ তাপমাত্রা বায়ুমণ্ডলে আরও বেশি জল বাষ্প তৈরি করে। এই জল বাষ্প ঘনীভূত হতে পারে এবং বৃষ্টি হতে পারে।
- উষ্ণ আবহাওয়া:গ্রীষ্মকালও বছরের সবচেয়ে উষ্ণ সময়। এর কারণ হল পৃথিবী সূর্যের কাছাকাছি থাকে। গ্রীষ্মের গড় তাপমাত্রা 70 থেকে 80 ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে থাকে।
- উদ্ভিদের বৃদ্ধি: গ্রীষ্মকাল উদ্ভিদের বৃদ্ধির সময়ও। উষ্ণ তাপমাত্রা এবং প্রচুর পরিমাণে সূর্যালোক উদ্ভিদকে দ্রুত বৃদ্ধি এবং প্রজনন করতে দেয়। এর ফলে গ্রীষ্মে প্রায়শই সবুজ পাতা এবং উজ্জ্বল ফুলের প্রাচুর্য দেখা যায়।
বর্ষাকাল (Rainy Season) | বর্ষা ঋতুর বৈশিষ্ট্য
বর্ষা বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর মধ্যে একটি। এটি আষাঢ় থেকে শ্রাবণ মাস (জুন-আগস্ট) পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সময়কালে, ভারত মহাসাগর থেকে আসা দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাতের কারণ হয়। বর্ষার গড় বৃষ্টিপাত প্রায় ১,৭০০ মিলিমিটার (৬৭ ইঞ্চি)।
বর্ষাকাল বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঋতু কারণ এটি দেশের বেশিরভাগ ফসলের জন্য প্রয়োজনীয় জল সরবরাহ করে। বর্ষা ঋতুও বিভিন্ন উৎসব এবং অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত, যার মধ্যে রয়েছে:
- বর্ষা: এই উৎসবটি আষাঢ় মাসের প্রথম দিন পালিত হয় এবং বর্ষার আগমনকে চিহ্নিত করে।
- রবীবার: এই উৎসবটি শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমায় পালিত হয় এবং ভগবান শিবকে উৎসর্গ করা হয়।
- জন্মাষ্টমী: এই উৎসবটি ভগবান কৃষ্ণের জন্মদিনকে চিহ্নিত করে এবং শ্রাবণ মাসের অষ্টমীতে পালিত হয়।
বর্ষাকাল বাংলাদেশের জন্য একটি সুন্দর সময়ও। প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে সবুজ শ্যামল পরিবেশ দেখা দেয়। নদী-নালা ভরে ওঠে এবং জলপ্রপাতগুলি আরও জোরালোভাবে প্রবাহিত হয়। বর্ষাকাল বিভিন্ন ধরণের পাখি এবং প্রাণীর জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়।
তবে, বর্ষাকাল বাংলাদেশের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জও নিয়ে আসে। প্রচুর বৃষ্টিপাত বন্যা এবং ভূমিধসের কারণ হতে পারে। বর্ষাকালে রাস্তাঘাট নোংরা এবং কাদা হয়ে যেতে পারে, যা যাতায়াতের জন্য অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।
শরৎকাল (Autumn) | শরৎ ঋতুর বৈশিষ্ট্য
শরৎকাল হলো বছরের সেই সময় যখন গ্রীষ্মের উত্তাপ কমে যায় এবং শীতের শীতলতা আসতে শুরু করে। উত্তর গোলার্ধে, শরৎকাল সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়, যখন দক্ষিণ গোলার্ধে এটি মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
শরৎকালের কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য হলো:
- দিনগুলি ছোট হয়ে আসে: পৃথিবীর তার অক্ষের উপর ঝোঁকের কারণে শরৎকালে দিনগুলি ছোট হতে থাকে। এর মানে হল সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কম সময় থাকে।
- আবহাওয়া শীতল হয়ে আসে: গ্রীষ্মের উত্তাপ কমে যাওয়ায় শরৎকালে আবহাওয়া শীতল হতে থাকে। শরৎকালের গড় তাপমাত্রা 60 থেকে 70 ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে থাকে।
- পাতা ঝরে:শরৎকালের একটি বিখ্যাত বৈশিষ্ট্য হল পাতা ঝরা। কম সূর্যালোকের কারণে গাছপালা ক্লোরোফিল উৎপাদন কমিয়ে দেয়, যা পাতাকে সবুজ করে তোলে। ক্লোরোফিল হারানোর ফলে পাতাগুলি হলুদ, কমলা এবং লাল রঙে পরিণত হয় এবং শেষ পর্যন্ত গাছ থেকে ঝরে পড়ে।
- বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি: শরৎকাল প্রায়শই বৃষ্টিপাত বৃদ্ধির সাথে যুক্ত থাকে। এর কারণ হল ঠান্ডা বাতাস উষ্ণ, আর্দ্র বাতাসের সাথে মিশে মেঘ তৈরি করে যা বৃষ্টিপাত হতে পারে।
- ফসল কাটার সময়: শরৎকাল অনেক ফসল কাটার সময়। এই সময়ে, কৃষকরা তাদের জমিতে ফসল কাটে এবং শীতের জন্য প্রস্তুতি নেয়।
- শরৎকাল বিভিন্ন উৎসব এবং অনুষ্ঠানের সাথেও যুক্ত, যার মধ্যে রয়েছে:
- থ্যাঙ্কসগিভিং:এই উৎসবটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং কানাডায় শরৎকালে পালিত হয়। এটি ফসলের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার একটি সময়।
- হ্যালোইন:এই উৎসবটি 31 অক্টোবর পালিত হয়। এটি ভূত, ডাইনি এবং অন্যান্য ভৌত জিনিসের সাথে যুক্ত একটি ছুটি।
- দীপাবলি:এই উৎসবটি হিন্দুদের দ্বারা পালিত হয়। এটি আলোর উৎসব এবং ভালোর বিরুদ্ধে মন্দের বিজয়কে চিহ্নিত করে।
হেমন্তকাল (Late Autumn) | হেমন্ত ঋতুর বৈশিষ্ট্য
হেমন্তকাল বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর মধ্যে একটি। এটি কার্তিক এবং অগ্রহায়ণ মাস (অক্টোবর-নভেম্বর) সময়কাল জুড়ে স্থায়ী হয়। এই ঋতুতে, শরতের আবহাওয়া আরও শীতল হতে থাকে এবং শীতের আগমনী বার্তা জানায়। হেমন্তকালের কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য হলো:
আবহাওয়া:
- শীতল আবহাওয়া: হেমন্তকালে আবহাওয়া শীতল থাকে। গড় তাপমাত্রা থাকে ১৫°C থেকে ২৫°C এর মধ্যে।
- কম বৃষ্টিপাত: হেমন্তকালে বৃষ্টিপাত কম থাকে।
- কুয়াশা: হেমন্তকালে সকালে ঘন কুয়াশা দেখা যায়।
- শুষ্ক বাতাস: হেমন্তকালে বাতাস শুষ্ক থাকে।
প্রকৃতি:
- পাতা ঝরা: হেমন্তকালে বেশিরভাগ গাছের পাতা ঝরে যায়।
- নতুন পাতার আগমন: কিছু গাছে নতুন পাতা আসতে শুরু করে।
- ফুল ফোটা: হেমন্তকালে কিছু ফুল ফোটে, যেমন শিউলি, জারুল, মাদারি ফুল ইত্যাদি।
- পাখিদের পরিযায়ন: হেমন্তকালে কিছু পাখি উষ্ণ অঞ্চলে চলে যায়।
সংস্কৃতি:
- দীপাবলি: হিন্দুরা দীপাবলি উৎসব পালন করে।
- কৃষ্ণপক্ষ: হিন্দুরা কৃষ্ণপক্ষ পালন করে।
- মৌলুদ উৎসব: মুসলমানরা মৌলুদ উৎসব পালন করে।
- পৌষ সংক্রান্তি: বাঙালিরা পৌষ সংক্রান্তি উৎসব পালন করে।
খাবার:
- নতুন ধানের ভাত: হেমন্তকালে নতুন ধান কাটা হয় এবং নতুন ধানের ভাত খাওয়া হয়।
- মিষ্টি: হেমন্তকালে বিভিন্ন ধরণের মিষ্টি তৈরি করা হয় এবং খাওয়া হয়।
- শাকসবজি: হেমন্তকালে বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি পাওয়া যায়।
হেমন্তকাল বাংলাদেশের একটি মনোরম ঋতু। এই ঋতুতে আবহাওয়া শীতল থাকে, প্রকৃতি তার সৌন্দর্য্য প্রকাশ করে এবং বিভিন্ন উৎসব পালিত হয়।
শীতকাল (Winter) | শীত ঋতুর বৈশিষ্ট্য
শীতকাল বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর মধ্যে পঞ্চম ঋতু। এটি পৌষ এবং মাঘ মাস (ডিসেম্বর-জানুয়ারী) সময়কাল জুড়ে স্থায়ী হয়। এই ঋতুতে, বছরের সবচেয়ে ঠান্ডা আবহাওয়া দেখা দেয়। শীতকালের কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য হলো:
আবহাওয়া:
- ঠান্ডা আবহাওয়া: শীতকালে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে। গড় তাপমাত্রা থাকে ১০°C থেকে ১৫°C এর মধ্যে।
- শুষ্ক বাতাস: শীতকালে বাতাস শুষ্ক থাকে।
- কুয়াশা: শীতকালে সকালে ঘন কুয়াশা দেখা যায়।
- হিমবৃষ্টি: কিছু এলাকায় হিমবৃষ্টি হতে পারে।
প্রকৃতি:
- গাছের পাতা ঝরে যাওয়া: শীতকালে বেশিরভাগ গাছের পাতা ঝরে যায়।
- শীতকালীন ফুল ফোটা: কিছু শীতকালীন ফুল ফোটে, যেমন শিউলি, জারুল, মাদারি ফুল ইত্যাদি।
- পাখিদের পরিযায়ন: কিছু পাখি উষ্ণ অঞ্চলে চলে যায়।
সংস্কৃতি:
- পৌষ সংক্রান্তি: বাঙালিরা পৌষ সংক্রান্তি উৎসব পালন করে।
- উত্তরাণ: হিন্দুরা উত্তরাণ উৎসব পালন করে।
- খ্রিস্টমাস: খ্রিস্টানরা খ্রিস্টমাস উৎসব পালন করে।
খাবার:
- নতুন ধানের ভাত: শীতকালে নতুন ধান কাটা হয় এবং নতুন ধানের ভাত খাওয়া হয়।
- গুড়: শীতকালে গুড় খাওয়া হয়।
- খেজুর: শীতকালে খেজুর খাওয়া হয়।
- শীতকালীন শাকসবজি: শীতকালে বিভিন্ন ধরণের শীতকালীন শাকসবজি পাওয়া যায়।
শীতকাল বাংলাদেশের একটি মনোরম ঋতু। এই ঋতুতে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে, প্রকৃতি তার নতুন রূপ ধারণ করে এবং বিভিন্ন উৎসব পালিত হয়।
বসন্তকাল (Spring) | বসন্ত ঋতুর বৈশিষ্ট্য
বসন্ত বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর মধ্যে দ্বিতীয় ঋতু। এটি ফাল্গুন এবং চৈত্র মাস (মার্চ-এপ্রিল) সময়কাল জুড়ে স্থায়ী হয়। শীতের শীতলতা কেটে গিয়ে বসন্তের মনোরম আবহাওয়া আসে। বসন্তকালের কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য হলো:
আবহাওয়া:
- মনোরম আবহাওয়া: বসন্তকালে আবহাওয়া মনোরম থাকে। দিনের বেলায় গরম থাকে এবং রাতের বেলায় ঠান্ডা থাকে।
- দীর্ঘ দিন: বসন্তকালে দিনগুলি দীর্ঘ হতে থাকে।
- কম বৃষ্টিপাত: বসন্তকালে বৃষ্টিপাত কম থাকে।
প্রকৃতি:
- নতুন পাতার আগমন: বসন্তকালে গাছে নতুন পাতা আসতে শুরু করে।
- ফুল ফোটা: বসন্তকালে বিভিন্ন ধরণের ফুল ফোটে, যেমন আম, জাম, কাঁঠাল, বেল, বকুল, শিউলি, জারুল, মাদারি ফুল ইত্যাদি।
- পাখিদের কলতান: বসন্তকালে পাখিরা মধুর কলতান করে।
সংস্কৃতি:
- বসন্ত উৎসব: বাঙালিরা বসন্ত উৎসব পালন করে।
- হোলি: হিন্দুরা হোলি উৎসব পালন করে।
- ঈদ-উল-ফিতর: মুসলমানরা ঈদ-উল-ফিতর উৎসব পালন করে।
খাবার:
- নতুন ফল: বসন্তকালে বিভিন্ন ধরণের নতুন ফল পাওয়া যায়।
- আমের রস: বসন্তকালে আমের রস খাওয়া হয়।
- খেজুর গুড়: বসন্তকালে খেজুর গুড় খাওয়া হয়।
বসন্তকাল বাংলাদেশের একটি মনোরম ঋতু। এই ঋতুতে প্রকৃতি তার সৌন্দর্য্য প্রকাশ করে, বিভিন্ন উৎসব পালিত হয় এবং নতুন খাবার পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ভাষা কাকে বলে? ভাষার বৈশিষ্ট্য