SC > অন্যান্য > অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর জীবনী ও তথ্য

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর জীবনী ও তথ্য

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষক। তিনি ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তক। অধ্যাপক ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন। ইউনূস বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার সহ আরও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর জন্ম ও পারিবারিক জীবন

ড. মুহাম্মদ ইউনুস, যিনি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী, বাংলাদেশে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তার জন্মস্থান এবং বাড়ি নিয়ে অনেকের আগ্রহ রয়েছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের জন্মস্থান

মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পরিবার চট্টগ্রামের প্রভাবশালী একটি ব্যবসায়ী পরিবার ছিল। চট্টগ্রামই তার শৈশবের বেশিরভাগ সময় কেটেছে এবং এখান থেকেই তিনি তার প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন।

তাঁর পিতার নাম হাজী দুলা মিয়া সওদাগর, এবং মাতার নাম সুফিয়া খাতুন। পিতা একজন স্বর্ণকার ছিলেন এবং তিনি সুনামের সাথে তার ব্যবসা পরিচালনা করতেন। মা গৃহিণী ছিলেন। মুহাম্মদ ইউনূসের সহধর্মিনী ড. আফরোজী ইউনুস। ব্যক্তিগত জীবনে মুহাম্মদ ইউনূস দুই কন্যার পিতা।

মুহাম্মদ ইউনূসের ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং ছোট ভাই মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর একজন জনপ্রিয় টিভি ব্যক্তিত্ব। ড. ইউনূস তার পিতা-মাতার আদর্শ ও শিক্ষার প্রভাবে বড় হয়েছেন, যা তাঁর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

চট্টগ্রামের বাড়ি

ড. ইউনুসের পরিবারের বাসস্থান ছিল চট্টগ্রামের একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকায়। তার পিতা ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী, যিনি সোনা ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। পরিবারটি চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী পরিবার হিসেবে পরিচিত ছিল।

ঢাকায় অবস্থান

পরবর্তীতে, ড. ইউনুসের কর্মজীবনের প্রয়োজনেই ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। যদিও তার জন্মস্থান চট্টগ্রাম, তার জীবনের বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ কাজ ঢাকাতেই সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকায় অবস্থান করেই তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন এবং এখান থেকেই তিনি তার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

শিক্ষা জীবন

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর শিক্ষা জীবন সংক্ষেপে:

  1. প্রাথমিক শিক্ষা:
    • চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল
  2. মাধ্যমিক শিক্ষা:
    • চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক
  3. উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা:
    • চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট
  4. স্নাতক ডিগ্রি:
    • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক (বিএ)
  5. স্নাতকোত্তর ডিগ্রি:
    • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর (এমএ)
  6. পিএইচডি:
    • ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি (ফুলব্রাইট স্কলারশিপের মাধ্যমে)

ম্যাট্রিক পরীক্ষায় মুহাম্মদ ইউনূস মেধা তালিকায় ১৬তম স্থান অধিকার করেন এবং চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। কলেজে তিনি নাটকে অভিনয় করে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা এবং আজাদী পত্রিকায় কলাম লেখার কাজে যুক্ত ছিলেন। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি বয়েজ স্কাউটসে যোগ দেন এবং বয়েজ স্কাউটসের পক্ষ থেকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন।

কর্ম জীবন

ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ এবং সামাজিক উদ্যোক্তা, যিনি ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তক হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত। তাঁর কর্মজীবন একটি অসাধারণ ও উদ্ভাবনী যাত্রা, যা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। নিম্নে তাঁর কর্মজীবনের বিশদ বিবরণ দেওয়া হলো:

প্রাথমিক কর্মজীবন

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৬১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির শিক্ষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশে ফিরে এসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন।

গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা

১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ চলাকালে ড. ইউনূস চট্টগ্রামের গ্রামীণ এলাকার দারিদ্র্য ও ঋণদাতাদের শোষণের বিরুদ্ধে উদ্যোগ নেন। তিনি দেখলেন যে, প্রচলিত ব্যাংকগুলো দরিদ্র মানুষের কাছে ঋণ প্রদান করতে অনিচ্ছুক। ১৯৭৬ সালে ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্প শুরু করেন, যা পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

ক্ষুদ্রঋণ ধারণা ও সফলতা

গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্র ও বিশেষ করে গ্রামীণ নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করতে সাহায্য করে। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে এ ধরনের অর্থনৈতিক উদ্যোগের ফলে বহু দরিদ্র মানুষ স্বনির্ভরতা অর্জন করেছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের এই মডেল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুকরণীয় হয়ে উঠেছে।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

ড. ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংকের সফলতা আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। ২০০৬ সালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। এই পুরস্কার প্রদান করা হয় দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ক্ষুদ্রঋণ ধারণার সফল বাস্তবায়নের স্বীকৃতি স্বরূপ।

অন্যান্য উদ্যোগ

ড. ইউনূস ক্ষুদ্রঋণের বাইরে সামাজিক ব্যবসা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অন্যান্য উদ্যোগেও সক্রিয় ছিলেন। তিনি সামাজিক ব্যবসার ধারণা প্রবর্তন করেন, যেখানে ব্যবসার মূল লক্ষ্য লাভ নয় বরং সমাজের কল্যাণ। ২০১১ সালে তিনি “ইউনূস সেন্টার” প্রতিষ্ঠা করেন, যা সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে কাজ করে।

গ্রন্থ ও প্রকাশনা

ড. ইউনূস বহু গ্রন্থ ও প্রকাশনার রচয়িতা। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে “ব্যাঙ্কার টু দ্য পুওর” এবং “বিল্ডিং সোশ্যাল বিজনেস”। এই গ্রন্থগুলোতে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা ও দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার গুরুত্ব সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করেছেন।

সাম্প্রতিক কার্যক্রম

ড. ইউনূস এখনও সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশগ্রহণ করে এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন। তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানে বক্তৃতা প্রদান করেন এবং সামাজিক ব্যবসার ধারণা প্রচার করেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পরামর্শক হিসেবেও কাজ করছেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কর্মজীবন একটি অনুপ্রেরণামূলক যাত্রা, যা সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তাঁর উদ্যোগ ও উদ্ভাবনী ধারণাগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দারিদ্র্য বিমোচনের মডেল হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। তাঁর কর্মজীবন বিশ্বের দরিদ্র মানুষের জন্য এক আশীর্বাদ এবং একটি উদাহরণ হিসেবে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

সম্মাননা

ডঃ ইউনুস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪৮টি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। শান্তিতে নোবেলজয়ী গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডাল গ্রহণ করেছেন। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে এই সম্মাননা দেয়া হলো ইউনূসকে, যিনি এই পদক পাওয়া প্রথম বাংলাদেশি ও মুসলিম।
বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্পদশালী দুই শতাধিক ব্যক্তির সম্মেলনে নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। ২০১৩, ৫ মে বুধবার জাতিসংঘ ভবনে এ সম্মাননা জানানো হয়। জাতিসংঘে বিশ্বের সম্পদশালী ব্যক্তিদের এ সমাবেশের আয়োজন করে বিশ্ববিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন। একজন সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবে ইউনূসকে এ ‘আজীবন সম্মাননা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জীবনী | এক নজরে শেখ মুজিবুর রহমান জীবনী বাংলা

ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস এর অ্যাওয়ার্ডস বা পুরস্কারসমূহ

  • প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড। (১৯৭৮)
  • রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার। (১৯৮৪)
  • কেন্দ্রীয় ব্যাংক অ্যাওয়ার্ড। (১৯৮৫)
  • স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৮৭)
  • আগা খান অ্যাওয়ার্ড। (১৯৮৯)
  • কেয়ার পুরস্কার। (১৯৯৩)
  • নোবেল পুরস্কার (শান্তি)। (২০০৬)
  • মানবহিতৈষণা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র। (১৯৯৩)
  • মুহাম্মদ সাহেবুদ্দিন বিজ্ঞান (সামাজিক অর্থনীতি) পুরস্কার,শ্রীলঙ্কা (১৯৯৩)
  • রিয়াল এডমিরাল এম এ খান স্মৃতি পদক,বাংলাদেশ (১৯৯৩)
  • বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার,যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৪)
  • পিফার শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৪)
  • ডঃ মুহাম্মাদ ইব্রাহিম স্মৃতি স্বর্ণ পদক, বাংলাদেশ (১৯৯৪)
  • ম্যাক্স সছমিধেইনি ফাউন্ডেশন ফ্রিডম পুরস্কার,সুইজারল্যান্ড (১৯৯৫)
  • ঢাকা মেট্রোপলিটন রোটারারি ক্লাব ফাউন্ডেশন পুরস্কার, বাংলাদেশ (১৯৯৫)
  • আন্তর্জাতিক সাইমন বলিভার পুরস্কার (১৯৯৬)
  • ভ্যানডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় বিশিষ্ট আলামনাই পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৬)
  • আন্তর্জাতিক একটিভিটিস্ট পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৭)
  • প্লানেটরি কনশিয়াশনেস বিজনেস ইনোভেশন পুরস্কার, জার্মানি (১৯৯৭)
  • হেল্প ফর সেলফ হেল্প পুরস্কার,নরওয়ে (১৯৯৭)
  • শান্তি মানব পুরস্কার (ম্যান ফর পিস এওয়ার্ড), ইতালি (১৯৯৭)
  • বিশ্ব ফোরাম পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৭)
  • ওয়ান ওয়ার্ল্ড ব্রডকাস্টিং ট্রাস্ট মিডিয়া পুরস্কার, যুক্তরাজ্য (১৯৯৮)বিশ্ব
  • দ্যা প্রিন্স অফ আউস্তুরিয়া এ্যাওয়ার্ড ফর কনকর্ড, স্পেন (১৯৯৮)
  • সিডনি শান্তি পুরস্কার, অস্ট্রেলিয়া (১৯৯৮)
  • অযাকি (গাকুডো) পুরস্কার, জাপান (১৯৯৮)
  • ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার, ইন্ডিয়া (১৯৯৮)
  • জাস্টটি অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার,ফ্রান্স (১৯৯৮) ( Les Justes D’or )
  • রোটারারি এ্যাওয়ার্ড ফর ওয়ার্ল্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৯)
  • গোল্ডেন পেগাসাস এ্যাওয়ার্ড, ইটালি (১৯৯৯)
  • রোমা এ্যাওয়ার্ড ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান, ইটালি (১৯৯৯)
  • রাথিন্দ্রা পুরস্কার, ইন্ডিয়া (১৯৯৮)
  • অমেগা এ্যাওয়ার্ড অফ এক্সিলেন্সি ফরব লাইফ টাইম এচিভমেন্ট, সুইজারল্যান্ড (২০০০)
  • এ্যাওয়ার্ড অফ দ্যা মেডেল অফ দ্যা প্রেসিডেন্সি,ইটালি (২০০০)
  • কিং হুসেইন হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশীপ এ্যাওয়ার্ড, জর্ডান (২০০০)
  • আই ডি ই বি গোল্ড মেডেল এ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ (২০০০)
  • আরতুসি পুরস্কার, ইটালি (২০০১)
  • গ্র্যান্ড প্রাইজ অফ দ্যা ফুকুওকা এশিয়ান কালচার পুরস্কার, জাপান (২০০১)
  • হো চি মীণ পুরস্কার, ভিয়েতনাম (২০০১)
  • আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পুরস্কার ‘কাজা ডি গ্রানাডা’, স্পেন (২০০১)
  • নাভারা ইন্টারন্যাশনাল এইড এ্যাওয়ার্ড, স্পেন (২০০১)
  • মহাত্মা গান্ধী পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০২)
  • বিশ্ব টেকনোলজি নেটওয়ার্ক পুরস্কার, যুক্তরাজ্য (২০০৩)
  • ভলভো পরিবেশ পুরস্কার, সুইডেন (২০০৩)
  • জাতীয় মেধা পুরস্কার, কলম্বিয়া (২০০৩)
  • দ্যা মেডেল অফ দ্যা পেইন্টার অসওয়াল্ড গুয়ায়াসামিন পুরস্কার, ফ্রান্স (২০০৩)
  • তেলিছিনকো পুরস্কার, স্পেন (২০০৪)
  • সিটি অফ অরভিতো পুরস্কার, ইটালি (২০০৪)
  • দ্যা ইকোনমিস্ট ইনোভেশন পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪)
  • ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪)
  • লিডারশীপ ইন সোশ্যাল অন্টাপ্রিনেয়ার এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪)
  • প্রিমিও গ্যালিলীয় ২০০০ স্পেশাল প্রাইজ ফর পিস ২০০৪, ইটালি (২০০৪)
  • নিক্কেই এশিয়া পুরস্কার, জাপান (২০০৪)
  • গোল্ডেন ক্রস অফ দ্যা সিভিল অর্ডার অফ দ্যা সোশ্যাল সলিডারিটি,স্পেন (২০০৫)
  • ফ্রিডম এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৫)
  • বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি গোল্ড মেডেল, বাংলাদেশ (২০০৫)
  • প্রাইজ ২ পন্টে, ইটালি (২০০৫)
  • ফাউন্ডেশন অফ জাস্টিস, স্পেন (২০০৫)
  • হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি নেউসতাদ এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৬)
  • গ্লোব সিটিজেন অফ দ্যা ইয়ার এ্যাওয়ার্ড,যুক্তরাষ্ট্র (২০০৬)
  • ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট স্বাধীনতা পুরস্কার, নেদারল্যান্ড (২০০৬)
  • ইতু বিশ্ব তথ্য সংগঠন পুরস্কার, সুইজারল্যান্ড (২০০৬)
  • সিউল শান্তি পুরস্কার, কোরিয়া (২০০৬)
  • কনভিভেঞ্চিয়া (উত্তম সহকারিতা) সেউতা পুরস্কার, স্পেন (২০০৬)
  • দুর্যোগ উপশম পুরস্কার, ইন্ডিয়া (২০০৬)
  • সেরা বাঙালী, ইন্ডিয়া (২০০৬)
  • গ্লোবাল ট্রেইলব্লেজার পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • এ বি আই সি সি এ্যাওয়ার্ড ফর লিডারশীপ ইন গ্লোবাল ট্রেড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • সামাজিক উদ্যোক্তা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • বিশ্ব উদ্যোগী নেতৃত্ব পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • রেড ক্রস স্বর্ণ পদক, স্পেন (২০০৭)
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্ম শত বার্ষিকী স্মারক, ইন্ডিয়া (২০০৭)
  • ই এফ আর বাণিজ্য সপ্তাহ পুরস্কার,নেদারল্যান্ড (২০০৭)
  • নিকলস চ্যান্সেলর পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • ভিশন এ্যাওয়ার্ড, জার্মানি (২০০৭)
  • বাফি গ্লোবাল এচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • রুবিন মিউজিয়াম মানডালা এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • সাকাল বর্ষ ব্যক্তিত্ব পুরস্কার, ইন্ডিয়া (২০০৭)
  • ১ম আহপাডা গ্লোবাল পুরস্কার, ফিলিপাইন (২০০৭)
  • মেডেল অফ ওনার, ব্রাজিল (২০০৭)
  • জাতিসংঘ সাউথ- সাউথ সহযোগিতা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
  • প্রোজেক্ট উদ্যোগী পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  • আন্তর্জাতিক নারী স্বাস্থ্য মিশন পুরস্কার, নিউইয়র্ক (২০০৮)
  • কিতাকইয়ুশু পরিবেশ পুরস্কার, জাপান (২০০৮)
  • চ্যান্সেলর পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  • প্রেসিডেন্স পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  • মানব নিরাপত্তা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  • বাৎসরিক উন্নয়ন পুরস্কার, অস্টিয়া (২০০৮)
  • মানবসেবা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
  • শিশু বন্ধু পুরস্কার,স্পেন (২০০৮)
  • এ জি আই আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পুরস্কার, জার্মানি (২০০৮)
  • করিনি আন্তর্জাতিক গ্রন্থ পুরস্কার, জার্মানি (২০০৮)
  • টু উয়িংস প্রাইজ,জার্মানি (২০০৮)
  • বিশ্ব মানবতাবাদী পুরস্কার, ক্যালিফোর্নিয়া (২০০৮)
  • ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এ্যাওয়ার্ড ,ক্যালিফোর্নিয়া (২০০৮)
  • এস্টরিল গ্লোবাল ইস্যু’স ডিসটিনগুইশড বুক প্রাইজ, পর্তুগাল (২০০৯)
  • এইসেনহওয়ের মেডেল ফর লিডারশীপ অ্যান্ড সার্ভিস, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
  • গোল্ডেন বিয়াটেক এ্যাওয়ার্ড, স্লোভাকিয়া (২০০৯)
  • গোল্ড মেডেল অফ ওনার এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
  • প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
  • পি আই সি এম ই টি এ্যাওয়ার্ড, পোর্টল্যান্ড (২০০৯)
  • বৈরুত লিডারশীপ এ্যাওয়ার্ড (২০০৯)
  • সোলারওয়ার্ল্ড আইন্সটাইন এ্যাওয়ার্ড (২০১০)
  • অস্ট্রেলিয়ান লিজেন্ডস হ্যাল অব ফেম (২০১১):সমাজে তার অবদানের জন্য।
  • মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার (২০১২):শান্তি ও সামাজিক উন্নয়নে তার অবদান।
  • শান্তি ও মানবাধিকার পুরস্কার (২০১৪):সামাজিক ব্যবসা ও দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানের জন্য।
  • তুলসী গঞ্জ পুরস্কার (২০১৫):সামাজিক উদ্যোগ ও মানবিক অবদানের জন্য।
  • গ্লোবাল সিটিজেন পুরস্কার (২০১৬):সামাজিক পরিবর্তনের জন্য তার কাজের স্বীকৃতি।
  • ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল হিরোস অ্যাওয়ার্ড (২০১৭):সমাজে তার প্রভাবশালী অবদানের জন্য।
  • সাংবাদিকতা ও মানবাধিকার পুরস্কার (২০১৮):সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়তার জন্য।
  • সোশ্যাল বিজনেস হিরো অ্যাওয়ার্ড (২০১৯):সামাজিক ব্যবসার ক্ষেত্রের উন্নয়নে তার অবদানের জন্য।
  • ইউএসএ প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম (২০২০):বিশ্বব্যাপী মানবিক কাজের জন্য এবং মানবাধিকারের প্রচারে তার অবদানের জন্য।
  • বিশ্ব পরিবেশ পুরস্কার (২০২১):পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ এবং সামাজিক ব্যবসায় তার অবদানের জন্য।
  • বিশ্ব শান্তি পুরস্কার (২০২২):বিশ্ব শান্তি এবং সমাজ উন্নয়নে তার অবদানের স্বীকৃতি।

ড. ইউনূসকে নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন

ডক্টর ইউনুস এর বাড়ি কোথায়?

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মূল বাসভবন বাংলাদেশে, ঢাকা শহরের একটি এলাকা। তিনি চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি ঢাকা শহরে বসবাস করেছেন। তার বাসভবনের সঠিক ঠিকানা সাধারণভাবে জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয় না, তবে তাঁর কাজ ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই উপস্থিত থাকেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস কত সালে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন?

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। এই পুরস্কার তাকে এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংককে দেওয়া হয়, যা দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ক্ষুদ্রঋণ ধারণার সফল বাস্তবায়ন এবং দরিদ্র জনগণের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

গ্রামীণ ব্যাংক দরিদ্র ও বিশেষ করে গ্রামীণ নারীদের ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করে তাদের স্বনির্ভরতা অর্জনে সহায়তা করেছে। এর মাধ্যমে তিনি সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জন করেছেন এবং বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য মোকাবেলায় নতুন একটি মডেল প্রতিষ্ঠা করেছেন। নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয় এই কারণে যে, তাঁর কাজ শান্তি ও সমাজের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

ডক্টর ইউনুস কেন নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন?

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেছিলেন। এই পুরস্কার তাঁকে ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংককে দেওয়া হয়। পুরস্কার প্রদানের কারণ ছিল:

  1. দারিদ্র্য বিমোচন: ড. ইউনূস ক্ষুদ্রঋণ ধারণার মাধ্যমে দরিদ্রদের আর্থিক সেবা প্রদান করে তাদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করেছেন। তিনি এমন একটি ব্যাংকিং মডেল প্রবর্তন করেন যা দারিদ্র্য মোকাবেলায় কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে।
  2. নারীর ক্ষমতায়ন: গ্রামীণ ব্যাংকের অধিকাংশ ঋণ গ্রাহক নারী, এবং এই ঋণপ্রাপ্তির মাধ্যমে নারীরা তাদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন। এটি নারীদের ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
  3. অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি: ড. ইউনূসের উদ্যোগে, এমন দরিদ্র জনগণের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া হয় যাদের সাধারণ ব্যাংকিং ব্যবস্থার আওতায় আসা সম্ভব ছিল না।

তার এই উদ্ভাবনী মডেল এবং দারিদ্র্য বিমোচনে তার অবদান শান্তি ও সামাজিক উন্নয়নে বিশাল প্রভাব ফেলেছে, যা নোবেল কমিটির দ্বারা স্বীকৃত হয়েছে।

ড ইউনুস কোন বিষয়ে নোবেলপুরস্কার পেয়েছেন?

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেছেন। তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয় “দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষুদ্রঋণ ধারণার সফল বাস্তবায়নের জন্য”। তার উদ্যোগ, গ্রামীণ ব্যাংক, বিশ্বের দরিদ্র জনগণের জন্য একটি নতুন অর্থনৈতিক মডেল প্রতিষ্ঠা করেছে, যা শান্তি ও সমাজ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

গ্রামীণ ব্যাংক কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

গ্রামীণ ব্যাংক ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক হিসেবে কাজ শুরু করে, যা ক্ষুদ্রঋণ প্রবর্তন ও দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

গ্রামীন ব্যাংকের কাজ কি?

গ্রামীণ ব্যাংক একটি অনন্য ব্যাংকিং মডেল যা মূলত দারিদ্র্য বিমোচন এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। এর প্রধান কাজগুলো হলো:

  1. ক্ষুদ্রঋণ প্রদান: গ্রামীণ ব্যাংক দরিদ্র জনগণকে ছোট পরিমাণ ঋণ প্রদান করে, যারা সাধারণ ব্যাংকিং সেবা পেতে অক্ষম। এই ঋণ সাধারণত কৃষি, ব্যবসা, গৃহ নির্মাণ বা স্বাস্থ্যসেবা সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তায় ব্যবহৃত হয়।
  2. নারীর ক্ষমতায়ন: ব্যাংকটি বিশেষভাবে মহিলাদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করে, যা তাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনে সহায়ক হয়। অধিকাংশ ঋণগ্রহীতা গ্রামীণ নারী, যারা ঋণপ্রাপ্তির মাধ্যমে পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটায়।
  3. অর্থনৈতিক উন্নয়ন: ঋণপ্রাপ্তির মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংক স্থানীয় ব্যবসা এবং ক্ষুদ্র উদ্যোগের বিকাশে সহায়তা করে, যা অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে।
  4. সঞ্চয় ও বিনিয়োগ: গ্রামীণ ব্যাংক গ্রাহকদের সঞ্চয় করার সুযোগ প্রদান করে এবং ঋণগ্রহীতাদের সঞ্চয় হিসাব খোলার মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করে।
  5. সামাজিক সেবা: ব্যাংকটি সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে যুক্ত থাকে, যেমন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, এবং নারী অধিকার উন্নয়ন, যা সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক।

গ্রামীণ ব্যাংকের মডেল দারিদ্র্য বিমোচন এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য একটি উদাহরণস্বরূপ এবং বিশ্বব্যাপী বহু দেশে অনুকরণ করা হয়েছে।

ক্ষুদ্রঋণের প্রবর্তক কে?

ক্ষুদ্রঋণের প্রবর্তক হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে widely স্বীকৃত করা হয়। ১৯৭৬ সালে তিনি প্রথমবারের মতো গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্প শুরু করেন এবং ১৯৮৩ সালে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

ড. ইউনূসের এই উদ্ভাবনী ধারণা গ্রামীণ ঋণ ব্যবস্থা গড়ে তোলে, যা দরিদ্র মানুষের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করে তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং স্বনির্ভরতার সুযোগ সৃষ্টি করে। তার কাজ বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং ক্ষুদ্রঋণের মডেল হিসেবে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।

ড ইউনুস কত টাকার মালিক?

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বা তার মোট ধন-সম্পদের পরিমাণ সম্পর্কে সঠিক এবং আপডেটেড তথ্য সাধারণত প্রকাশিত হয় না। তিনি একজন সামাজিক উদ্যোক্তা এবং সমাজসেবী, যিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং ক্ষুদ্রঋণ প্রবর্তনে ব্যয় করেছেন।

ড. ইউনূসের মূল ফোকাস সামাজিক ব্যবসা ও মানবকল্যাণে, এবং তার ব্যক্তিগত সম্পত্তির চেয়ে তার কাজ এবং অবদানই বেশি গুরুত্বপূর্ন। সামাজিক ব্যবসার জন্য তার উদ্যোগগুলো মূলত সমাজের উন্নয়ন এবং দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়নের দিকে মনোনিবেশ করে।

মুহাম্মদ ইউনূস কিসের জন্য বিখ্যাত ছিলেন?

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষুদ্রঋণের ধারণা প্রবর্তন ও গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন এবং নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য বিখ্যাত ছিলেন।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রন্থসমূহ কি কি?

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিভিন্ন গ্রন্থ রয়েছে যা তার দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুদ্রঋণ, এবং সামাজিক ব্যবসার ধারণাগুলোর উপর আলোকপাত করে। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ হলো:

  1. “ব্যাঙ্কার টু দ্য পুওর: মাই মিশন টু ফাইট পুওরটি” (1999):
  • ড. ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণ মডেলের জন্ম এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠার কাহিনী বর্ণিত এই গ্রন্থটি।
  1. “প্রোনিং দ্য লিডারশিপ লেসনস অফ দ্য মাইন্ড” (2008):
  • সামাজিক ব্যবসার বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করা হয়েছে।
  1. “বিল্ডিং সোশ্যাল বিজনেস: রিপোর্টস্ অ্যা ড্রিম” (2010):
  • সামাজিক ব্যবসার ধারণা এবং এর বাস্তবায়নের বিস্তারিত বর্ণনা।
  1. “এ গ্লোবাল ফাইট ফর ডেমোক্রেসি” (2014):
  • বৈশ্বিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র বিষয়ক তার দৃষ্টিভঙ্গি।
  1. “মাই জার্নি টু দি ফিউচার: দ্য রেভোলিউশন ইন সোশ্যাল বিজনেস” (2015):
  • সামাজিক ব্যবসার ভবিষ্যত এবং এর উদ্ভাবনী ধারণাগুলি নিয়ে আলোচনা।
  1. “এক্সপ্যান্ডিং দ্য সোশ্যাল বিজনেস: লেসনস্ ফ্রম দ্য ফ্রন্টলাইন” (2018):
  • সামাজিক ব্যবসার বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষণীয় দিকগুলি বিশ্লেষণ।
  1. “আ লেটার টু দ্য ফিউচার: ফ্রম দ্য সোশ্যাল বিজনেস” (2020):
  • ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সামাজিক ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ ধারণা ও পরামর্শ।

এই গ্রন্থগুলো ড. ইউনূসের দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক ব্যবসা এবং মানবিক উন্নয়নের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি ও চিন্তাধারার প্রতিফলন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top