SC > অর্থনীতি > অর্থায়ন বা ফিন্যান্স কাকে বলে? | Finance এর কাজ কি?

অর্থায়ন বা ফিন্যান্স কাকে বলে? | Finance এর কাজ কি?

আজকের আর্টিকেল আমরা অর্থায়ন বা ফিন্যান্স কাকে বলে? | Finance এর কাজ কি? ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

অর্থায়ন বা ফিন্যান্স কাকে বলে

অর্থায়ন বা ফিন্যান্স কাকে বলে ? অর্থায়ন কি?

ল্যাটিন শব্দ ‘Finis’ থেকে ইংরেজি ‘finance’ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। এর বাংলা অর্থ হলো অর্থায়ন বা অর্থসংস্থান। সর্বপ্রথম অর্থায়নকে শুধুমাত্র অর্থ বা তহবিল সংগ্রহ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তবে বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির যুগে অর্থায়নের আওতা বা পরিধি অনেক বিস্তৃত ও গতিশীল। অর্থায়ন দ্বারা মূলত ব্যবসায় অর্থায়নকেই বেশি বোঝানো হয়ে থাকে । 

তাছাড়া অর্থায়ন বা ফিন্যান্স হলো অর্থের ব্যবস্থাপনা, বিনিয়োগ, এবং সম্পদ সংগ্রহ ও ব্যয় সংক্রান্ত অধ্যয়ন। এটি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সরকার এবং অন্যান্য সংগঠনগুলির মধ্যে অর্থের প্রবাহ, তহবিল সংগ্রহের পদ্ধতি, বিনিয়োগের সুযোগ, এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে আলোচনা করে।

বিভিন্ন অর্থনীতিবিদদের মতে অর্থায়ন বা ফিন্যান্সের সংজ্ঞা

বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ ও আর্থিক বিশেষজ্ঞরা অর্থায়নের সংজ্ঞা বিভিন্নভাবে প্রদান করেছেন, যা এই ক্ষেত্রের বিস্তৃতি এবং জটিলতাকে বোঝায়। নিচে কয়েকজন বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে অর্থায়নের সংজ্ঞা দেওয়া হলো:

. পল স্যামুয়েলসন: “অর্থায়ন হল অর্থের ব্যবস্থাপনা, যার মধ্যে রয়েছে রোজগার, ব্যয়, ঋণ, বিনিয়োগ এবং সম্পদের বর্তমান ও ভবিষ্যতের মূল্য নির্ধারণ।”

২. ফ্র্যাঙ্ক নিউম্যান: “অর্থায়ন হলো সময়ের সাথে সাথে অর্থের অনিশ্চয়তার সাথে মোকাবিলা করার প্রক্রিয়া।”

৩. ইউজিন ফামা (Eugene Fama)

  • সংজ্ঞা: “ফিন্যান্স হচ্ছে সম্পদের মূল্যায়ন, অর্থের প্রবাহ এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়াবলী।”
  • বিস্তারিত: ইউজিন ফামা মূলত দক্ষ বাজার হাইপোথিসিসের জন্য বিখ্যাত, যা বলে যে সকল তথ্য বাজারে প্রতিফলিত হয় এবং এটি মূল্যায়নের প্রক্রিয়ার একটি মূল অংশ।

৪. মাইরন শোলে (Myron Scholes)

  • সংজ্ঞা: “ফিন্যান্স হলো সম্পদের মূল্যায়ন, তহবিল ব্যবস্থাপনা, এবং ঝুঁকি নির্ধারণ ও পরিচালনা করার প্রক্রিয়া।”
  • বিস্তারিত: মাইরন শোলে মূলত ব্ল্যাক-শোলস মডেল তৈরি করেন, যা বিকল্প মূল্যায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মডেল।

৫. ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল

  • সংজ্ঞা: “অর্থায়ন হচ্ছে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ এবং ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি।”
  • বিস্তারিত: ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুলের অর্থনীতিবিদরা সামাজিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অর্থায়নের বিশ্লেষণ করেন।

৬. রবার্ট শিলার (Robert Shiller)

  • সংজ্ঞা: “ফিন্যান্স হলো সম্পদের মূল্য নির্ধারণ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং বিভিন্ন আর্থিক পণ্য ও সেবা সরবরাহ করার প্রক্রিয়া।”
  • বিস্তারিত: রবার্ট শিলার বিহেভিওরাল ফিন্যান্স এবং আর্থিক বাজারের অস্থিরতা সম্পর্কে তার কাজের জন্য পরিচিত।

৭. ইরভিং ফিশার (Irving Fisher)

  • সংজ্ঞা: “অর্থায়ন হচ্ছে সম্পদের মূল্যায়ন এবং বিনিয়োগের সুযোগ নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া।”
  • বিস্তারিত: ইরভিং ফিশার সুদের হার এবং বিনিয়োগের উপর তার তত্ত্বের জন্য বিখ্যাত।

৮. স্টুয়ার্ট মায়ার্স (Stewart Myers)

  • সংজ্ঞা: “ফিন্যান্স হলো মূলধনের খরচ নির্ধারণ এবং আর্থিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কার্যক্রম।”
  • বিস্তারিত: মায়ার্স কর্পোরেট ফিন্যান্সে তার অবদানের জন্য পরিচিত।

৯. রিচার্ড ব্রেলি এবং স্টুয়ার্ট মায়ার্স (Richard Brealey and Stewart Myers)

  • সংজ্ঞা: “ফিন্যান্স হচ্ছে সম্পদের মূলধন ব্যবস্থাপনা, ঝুঁকি নির্ধারণ এবং বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া।”
  • বিস্তারিত: তারা যৌথভাবে “Principles of Corporate Finance” নামে বিখ্যাত বইটির রচয়িতা।

অর্থায়ন বা ফিন্যান্সের সংজ্ঞা নির্ভর করে তার প্রয়োগের ক্ষেত্র, দৃষ্টিভঙ্গি এবং নির্দিষ্ট তাত্ত্বিক মডেলের ওপর। সাধারণভাবে অর্থায়ন বলতে সম্পদের মূল্যায়ন, তহবিল সংগ্রহ, বিনিয়োগের সুযোগ এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়াকে বোঝায়। বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ এবং আর্থিক বিশেষজ্ঞরা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই ক্ষেত্রের সংজ্ঞা ও প্রয়োগ ব্যাখ্যা করেছেন।

অর্থায়নের ধরণ বা প্রকারভেদ

অর্থায়ন বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। নিচে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো –

১. ব্যক্তিগত অর্থায়ন (Personal Finance)

  • সংজ্ঞা: ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত আয়, ব্যয়, সঞ্চয়, বিনিয়োগ, এবং বাজেটের ব্যবস্থাপনা।
  • উদাহরণ: পারিবারিক বাজেট তৈরি, বীমা পরিকল্পনা, সঞ্চয় ও বিনিয়োগ, ঋণ ব্যবস্থাপনা, অবসর পরিকল্পনা।

২. কর্পোরেট অর্থায়ন (Corporate Finance)

  • সংজ্ঞা: ব্যবসা ও কর্পোরেশনগুলির পুঁজি সংগ্রহ, তহবিল বিনিয়োগ, এবং আর্থিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা।
  • উদাহরণ: পুঁজিবাজারে শেয়ার ইস্যু করা, ঋণ গ্রহণ, মুনাফা ও ক্ষতির হিসাব, ব্যবসায়িক বিনিয়োগ পরিকল্পনা।

৩. সরকারি অর্থায়ন (Public Finance)

  • সংজ্ঞা: সরকার এবং সরকারি সংস্থাগুলির আয়, ব্যয়, ঋণ এবং অন্যান্য আর্থিক কার্যক্রম।
  • উদাহরণ: সরকারি বাজেট তৈরি, কর সংগ্রহ, সরকারি প্রকল্পে অর্থায়ন, সামাজিক সেবা অর্থায়ন।

৪. আন্তর্জাতিক অর্থায়ন (International Finance)

  • সংজ্ঞা: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অর্থ ব্যবস্থাপনা এবং দেশের মধ্যে অর্থের প্রবাহ।
  • উদাহরণ: বৈদেশিক মুদ্রা বাজার, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি, বৈদেশিক বিনিয়োগ, গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউশন।

Finance এর কাজ কি? | অর্থায়নের প্রধান কার্যাবলী

অর্থায়ন বা ফিন্যান্সের কাজ হলো অর্থের কার্যকর ব্যবস্থাপনা, বিনিয়োগ, এবং সম্পদ সংগ্রহ ও ব্যয় সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা। ফিন্যান্সের প্রধান কাজগুলোকে সাধারণত তিনটি প্রধান ক্ষেত্রে ভাগ করা হয়: ব্যক্তিগত অর্থায়ন, কর্পোরেট অর্থায়ন, এবং সরকারি অর্থায়ন। নিচে এই কাজগুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:

১. তহবিল সংগ্রহ (Raising Capital)

  • উৎস: ইকুইটি, ঋণ, অভ্যন্তরীণ তহবিল, বন্ড ইস্যু ইত্যাদি।
  • উদ্দেশ্য: ব্যবসা শুরু করা, সম্প্রসারণ করা, সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন, বা ব্যক্তিগত ক্রয়ের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা।

২. বিনিয়োগ (Investment)

  • বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত: কোন প্রকল্পে বা সম্পদে বিনিয়োগ করা হবে তা নির্ধারণ করা।
  • বিনিয়োগের ধরন: স্টক, বন্ড, রিয়েল এস্টেট, মিউচুয়াল ফান্ড, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইত্যাদি।
  • বিনিয়োগ বিশ্লেষণ: বিনিয়োগের সম্ভাব্য লাভ, ঝুঁকি এবং সময়কাল বিশ্লেষণ করা।

৩. ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা (Risk Management)

  • ঝুঁকি নির্ধারণ: বিভিন্ন আর্থিক ঝুঁকি যেমন বাজার ঝুঁকি, ক্রেডিট ঝুঁকি, অপারেশনাল ঝুঁকি ইত্যাদি সনাক্ত করা।
  • ঝুঁকি প্রশমিত করা: বীমা, হেজিং, ডাইভারসিফিকেশন ইত্যাদির মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাস করা।
  • ঝুঁকি পর্যবেক্ষণ: নিয়মিত ঝুঁকি পর্যবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার পদক্ষেপ নেওয়া।

৪. আর্থিক পরিকল্পনা (Financial Planning)

  • বাজেট তৈরি: আয় এবং ব্যয়ের বিশ্লেষণ করে বাজেট পরিকল্পনা করা।
  • আর্থিক লক্ষ্য নির্ধারণ: ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি আর্থিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা।
  • লিকুইডিটি ব্যবস্থাপনা: পর্যাপ্ত লিকুইডিটি বজায় রাখা যাতে তাত্ক্ষণিক আর্থিক প্রয়োজন মেটানো যায়।

৫. ব্যয় নিয়ন্ত্রণ (Cost Control)

  • ব্যয়ের নিরীক্ষা: ব্যয়ের প্রতিটি ক্ষেত্র নিরীক্ষা করা এবং অতিরিক্ত ব্যয় হ্রাস করা।
  • কার্যকরী ব্যয় পরিকল্পনা: কার্যকরী প্রক্রিয়ার জন্য ব্যয় নির্ধারণ এবং ব্যয়ের জন্য বাজেট তৈরি করা।

৬. অর্থপ্রাপ্তি ও বিতরণ (Revenue and Distribution)

  • আয় সৃষ্টির উপায়: ব্যবসায়, বিনিয়োগ বা অন্য কোনো উপায়ে আয় সৃষ্টি করা।
  • লাভ বিতরণ: শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণ, কর্মচারীদের বোনাস প্রদান ইত্যাদি।

৭. আর্থিক বিশ্লেষণ (Financial Analysis)

  • আর্থিক প্রতিবেদন: আয়-ব্যয় বিবরণী, স্থিতি বিবরণী এবং নগদ প্রবাহ বিবরণী তৈরি করা।
  • আর্থিক অনুপাত: বিভিন্ন আর্থিক অনুপাত বিশ্লেষণ করে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বাস্থ্য নির্ধারণ করা।

৮. কর ব্যবস্থাপনা (Tax Management)

  • কর পরিকল্পনা: করের দায়িত্ব নির্ধারণ এবং কর হ্রাসের পরিকল্পনা করা।
  • কর পরিশোধ: যথাযথ সময়ে এবং সঠিকভাবে কর পরিশোধ করা।

৯. আর্থিক পরামর্শ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ (Financial Advisory and Decision Making)

  • অর্থনৈতিক পরামর্শ: ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক বা সরকারি সিদ্ধান্তের জন্য আর্থিক পরামর্শ প্রদান।
  • কৌশলগত পরিকল্পনা: দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক কৌশল ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

১০. বাজার বিশ্লেষণ (Market Analysis)

  • বাজার ট্রেন্ড: অর্থনৈতিক বাজারের ট্রেন্ড বিশ্লেষণ এবং পূর্বাভাস করা।
  • প্রতিযোগিতামূলক বিশ্লেষণ: বাজারে প্রতিযোগিতার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা।

অর্থায়নের কাজগুলো একটি সুসংগঠিত অর্থনৈতিক কাঠামো বজায় রাখতে এবং ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, ও সরকারের আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ব্যবসায় অর্থায়ন বা Business Finance কাকে বলে?

ব্যবসায় অর্থায়ন বা ব্যবসায়িক অর্থায়ন (Business Finance) হলো ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ, পরিচালনা এবং ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া। এটি ব্যবসার আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র যা ব্যবসার শুরু থেকে শুরু করে এর সম্প্রসারণ, দৈনন্দিন কার্যক্রম, এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা পর্যন্ত সবকিছু জড়িত।

B.O Wheeler এর মতে, “Business finance is that business activity which is concerned with the acquisition and conservation of capital funds in meeting the financial need and over all objective of business enterprise.”

E.W Walker এর মতে, “Business finance is concerned with the sources of funds available to enterprises of all sizes and the proper use of money or credit obtained from such sources.”

ব্যবসায় অর্থায়নের উপাদানসমূহ

  1. তহবিল সংগ্রহ (Raising Funds)
    • ইকুইটি ফিন্যান্সিং: শেয়ার ইস্যু করে পুঁজির সংগ্রহ।
    • ঋণ ফিন্যান্সিং: ব্যাংক ঋণ, বন্ড ইস্যু ইত্যাদির মাধ্যমে পুঁজির সংগ্রহ।
    • অভ্যন্তরীণ তহবিল: ব্যবসার মুনাফা পুনরায় বিনিয়োগ করা।
  2. পুঁজি বিনিয়োগ (Capital Investment)
    • বিনিয়োগ পরিকল্পনা: বিভিন্ন প্রকল্প বা সম্পদে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করা।
    • বিনিয়োগ বিশ্লেষণ: প্রকল্পের সম্ভাব্য লাভ ও ঝুঁকি বিশ্লেষণ।
  3. অপারেশনাল ফিন্যান্সিং (Operational Financing)
    • কার্যকরী পুঁজির ব্যবস্থাপনা: কার্যকরী পুঁজির সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা যাতে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।
    • নগদ প্রবাহ ব্যবস্থাপনা: নগদ প্রবাহের পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনা করা।
  4. আর্থিক পরিকল্পনা ও বিশ্লেষণ (Financial Planning and Analysis)
    • বাজেট তৈরি: আয় এবং ব্যয়ের বাজেট তৈরি।
    • আর্থিক অনুপাত বিশ্লেষণ: ব্যবসার আর্থিক স্থিতি এবং কার্যকারিতা পরিমাপ করার জন্য আর্থিক অনুপাত বিশ্লেষণ।
  5. ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা (Risk Management)
    • বীমা: বিভিন্ন ব্যবসায়িক ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য বীমা গ্রহণ।
    • ঝুঁকি প্রশমিত করা: হেজিং এবং ডাইভারসিফিকেশনের মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাস করা।
  6. লাভ বিতরণ (Profit Distribution)
    • লভ্যাংশ প্রদান: শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণ।
    • পুনরায় বিনিয়োগ: লাভের একটি অংশ পুনরায় ব্যবসায় বিনিয়োগ করা।

ব্যবসায় অর্থায়নের উদ্দেশ্য

  • আর্থিক স্থিতিশীলতা: ব্যবসার আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
  • সম্প্রসারণ: ব্যবসার বৃদ্ধি এবং সম্প্রসারণের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল নিশ্চিত করা।
  • লাভজনকতা: বিনিয়োগ থেকে সর্বাধিক লাভ অর্জন করা।
  • ঝুঁকি হ্রাস: সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলি সনাক্ত এবং হ্রাস করা।

ব্যবসায় অর্থায়নের গুরুত্ব

  • সঠিক পুঁজির সংগ্রহ ও বিনিয়োগ: ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজি সংগ্রহ এবং লাভজনক প্রকল্পে বিনিয়োগ নিশ্চিত করা।
  • দৈনন্দিন কার্যক্রম চালানো: দৈনন্দিন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কার্যকরী পুঁজির সঠিক ব্যবস্থাপনা।
  • আর্থিক পরিকল্পনা ও বিশ্লেষণ: ব্যবসার আর্থিক স্থিতি এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য সঠিক আর্থিক বিশ্লেষণ।
  • ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: ব্যবসায়িক ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য কার্যকরী ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা।

ব্যবসায় অর্থায়ন ব্যবসার আর্থিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও পরিচালিত করার জন্য অপরিহার্য। এটি ব্যবসার সঠিক পুঁজির সংগ্রহ, বিনিয়োগ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, এবং লাভজনকতা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top